বিশেষ করে জনবহুল এলাকাতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। একদিকে যেমন যত্রতত্র জমে আবর্জনার স্তূপ, অন্যদিকে তেমন অলিতে-গলিতে দেখা যায় অপরিষ্কার অজস্র নর্দমা। মূলত এই সমস্ত অপরিচ্ছন্ন জায়গাতেই জন্ম হয় ডেঙ্গু লার্ভার। অন্যদিকে যখন রাজ্য জুড়ে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা। ঠিক তখনই সরকারি দপ্তরের উদাসীনতা আর প্রশাসনের গাফিলতি চোখে পড়ছে উল্লেখ যোগ্য ভাবে। অন্যদিকে ডেঙ্গু বিষয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তাই এবার কারও উপর কোনো ভরসা না রেখে পথে নেমেছে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। আজ প্রায় ১০ দিন ধরে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু দমনে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস তথা বহরমপুর টাউন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। ইতিমধ্যেই পৌরসভার ২৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশকিছু ওয়ার্ডে সাফাই অভিযানের পাশাপাশি কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। আজ শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পথে নেমে নিজে হাতে সাফাই অভিযান শুরু করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যেখান উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব সহ বহরমপুর টাউন কংগ্রেস নেতৃত্ব ও দলীয় কর্মীরা। অধীর বাবুর অভিযোগ- একে তো এখনও ডেঙ্গু বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার জেলা প্রশাসন আর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। তার উপর বর্তমানে যে কীটনাশক বা স্প্রে করা হচ্ছে শাসক দলের পক্ষ থেকে তাতেও রয়েছে ভেজাল, সেখানেও চলছে কাটমানির খেলা। ফলে ডেঙ্গু মশা মরা তো দূরের কথা, আরও প্রাণবন্ত হচ্ছে মশার লার্ভারা। এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের হিসেবে এককথায় শীর্ষ তালিকায় রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা। যেখানে বর্তমানে সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হচ্ছে ৬০০১ জন। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হচ্ছে ৪ জন। তবে প্রশ্ন উঠছে- যেহেতু সরকারি তরফে নিজেদের উদাসীনতা ঢাকতে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে- তাই সরকারি হিসেবের বাইরে এই মুহুর্তে সব মিলিয়ে আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে তার কোনো হিসেব নেই।