পুরোনো বাজরার চাষ ফিরিয়ে আনছেন রানিনগরের এক কৃষক। কুড়ি থেকে পঁচিশ বছর আগে সাধারণত এই চাষ দেখা যেত মাঠেঘাটে। কিন্তু কালের খেয়ালে হারিয়ে গেছে এই চাষ। পরিবর্তে লাভজনক বিকল্প চাষ আবাদ খুঁজে নিয়েছেন চাষিরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে খুব একটা পাওয়া যায় না বাজরা। মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার ঝাওবেড়িয়া এলাকার কৃষক মাইনুল ইসলাম তার নিজের জমিতে বাজরার চাষ করছেন। তিনি দু-বিঘা জমিতে বাজরার চাষ করছেন। আগে বাড়ির দাদু ঠাকুমাদের মুখে বাজরা চাষের গল্প শোনা যেত। দাদু ঠাকুমারা বলত ,আমাদের বাজরার তৈরি রুটি খেয়েই দিন চলত। বাজরা সাধারণত ঘাস জাতীয় দানাশস্য। চাষ করতে জলসেচের প্রয়োজন হয়। তবে অতিরিক্ত সেচের দরকার হয় না। অনেকটা বার্লির মত। এই ফসল জুন জুলাই মাসে লাগানো হয়। আড়াই থেকে তিন মাস সময় লাগে ফসল পাকতে। পরিনত বাজরা গাছ কেটে রোদে শুকিয়ে নিতে হয়। তার পর সেখান থেকে বাজরা সংগ্রহ করে চাষিরা। বাজরা থেকে রুটি তৈরি হয়। আর এই রুটির পুষ্টিগুনের জুড়ি মেলা ভার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিডও থাকে। আটা,চালের থেকে বাজরায় অনেক বেশি ফাইবার থাকে। বাজরা নিয়মিত খেলে বাচ্চাদের হাঁড় শক্ত হয়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। বড়োদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। বাজরা খেলে হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা কম থাকে। ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়। ঝাওবেড়িয়া এলাকার কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন,আমার অনেক দিনের ইচ্ছা বাজরা চাষ করা। কোলকাতার বন্ধুর দৌলতে বিহার থেকে বাজরার বীজ এনে দুবিঘা জমিতে চাষ করেছি। অনেকেই ফসল ভেঙে ফেলার কথা বলেছে কিন্তু ওসব কথা কানে নিইনি। প্রতি কেজি বাজরা ২০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হয়। দুবিঘা জমিতে প্রায় এক লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে জানালেন মাইনুল ইসলাম। তিনি জানালেন আমার মত যদি কেও এই ফসল চাষ করতে ইচ্ছুক হয় তাহ