শুভেন্দুর সভার আগেই বহরমপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে চলল গুলি। তৃণমূল কর্মীর বাইক, বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বহরমপুরের কুঞ্জঘাটা এলাকার ঘটনায় উত্তেজনা। কুঞ্জঘাটার বাসিন্দা মুক্তি হালদারের দাদা ভক্তি হালদার নিজেকে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ এলাকারই কিছু দুষ্কৃতী আচমকা হামলা করে।থানায় অভিযোগ দায়ের। ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে গুলির খোল। ঘটনাস্থলে পুলিশ।
এলাকা দখলে রাখাকে কেন্দ্র করে রবিবার গভীর রাতে বহরমপুর শহরের সৈদাবাদ এলাকাতে চললো গুলি। ভাঙচুর করা হল এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি। যদিও এই ঘটনাতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে -রবিবার গভীর রাতে কিছু সশস্ত্র দুষ্কৃতী বহরমপুর শহরের প্রাক্তন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভক্তি হালদারের বাড়িতে মত্ত অবস্থায় ঢুকে পড়ে। এরপর দুষ্কৃতীরা ভক্তিবাবুর ভাই মুক্তি হালদারের খোঁজ করতে থাকে।
অভিযোগ মুক্তি হালদারকে খুঁজে না পেয়ে ওই দুষ্কৃতীরা বাড়িতে থাকা দুটো বাইকে ভাঙচুর চালান। এর পাশাপাশি ভক্তিবাবুর বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূল কর্মী ভক্তি হালদার বলেন,’ আমি এক সময় জেলা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলাম। আমার ভাই এবং পরিবারের সকলেই তৃণমূল সমর্থক। রবিবার গভীর রাতে দেয়ার এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী মেঘনাথ রায়ের নেতৃত্বে ৬-৭ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী আমাদের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে আমার ভাইয়ের খোঁজ করতে থাকে। ভাইকে না পেয়ে তারা বাড়িতে থাকা দুটি বাইকে ভাঙচুর চালায় এবং সেগুলো গুড়িয়ে দেয়। এরপর পরিবারের লোকেদেরকে ভয় দেখানোর জন্য মেঘনাথ তার সাথে থাকা রিভলবার থেকে এক রাউন্ড গুলিও চালায়।’
গোটা ঘটনাটি সোমবার দুপুরে লিখিত আকারে বহরমপুর থানাতে জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
বহরমপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাবন রায় বলেন,’ অভিযোগকারী ব্যক্তির সাথে তৃণমূল দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিধানসভা নির্বাচনে সে বিজেপির হয়ে এবং পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট পাওয়ার জন্য এখন নিজেকে তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন মিডিয়াতে।’
তিনি আরও বলেন,’ মুক্তি হালদারের বিরুদ্ধে এলাকাতে চুরি, ছিনতাই ও জুয়া খেলার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি গোটা বিষয়টি নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করতে এবং দোষীদের গ্রেফতার করতে। ‘